নিউজ ডেস্ক::
সুগন্ধা পয়েন্টের ডেসটিনি ভবন এখন মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক সেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভবনটি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব জেলা পুলিশের হলেও মুলত তারা একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। ফলে পুরো ভবনটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক সেবীরা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ডেসটিনি ভবন এখন মাদক ব্যবসায়ি ও সেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র এখন ভবনটি নিয়ন্ত্রণ করে মাদকের আড়তে পরিণত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় কনফিগার নামের একটি ডেভলাপার কোম্পানী থেকে ২৪ কোটি টাকা মূল্যে জমিটি ক্রয় করে ডেসটিনি। পরবর্তীতে ওই জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করে ডেসটিনি। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ডেসটিনির সম্পদ জব্দ করা হলে ভবনটি দেখার দায়িত্ব অর্পিত হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশের উপর। শুরুতে পুলিশ পাহারায় থাকলেও গত দুই বছর ধরে কোন পাহারাই নেই ভবনটিতে। শুধু পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভবনের পাশ্ববর্তী একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা হলেই মাদকসেবীরা জমতে শুরু করে ডেসটিনি ভবনে। মাদক সেবী ও খুচরা মাদক ব্যবসায়িরা এখান থেকেই হোটেল মোটেল জোনসহ সৈকত এলাকায় মাদক সরবরাহ করে। একটি প্রভাবশালী চক্র ভবনটি নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় তদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। মুলত কক্সবাজার পৌর এলাকায় ডেসটিনি ভবন এখন সবচেয়ে বড় মাদকের হাটে পরিণত হয়েছে। সারারাত বখাটেদের আড্ডার কারণে কোন পর্যটক এই এলাকায় আসতে চায় না। ডেসটিনি ভবনের সামনে দাড়ানোর সাহস করে না কেউ।
জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজের কর্মচারী শওকত জানিয়েছেন, এই ভবনে পুলিশ পাহারা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সুগন্ধা পয়েন্টের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় লোকজনও এই এলাকায় আসতে চায় না। যার ফলে ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই পর্যটনের স্বার্থে অবিলম্বে এই ভবনটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রয়োজন।
ডেসটিনির তৎকালিন প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে সবকিছু বন্ধ আছে। তাই এই প্রকল্পের কোন ভবিষ্যৎ নেই। এখানে যা বিনিয়োগ করা হয়েছে সবটাকাই গ্রাহকের। এই ব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। কোম্পানীর অস্তিত্বই এখন বিলীন হয়ে গেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোছাইন জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি মাত্র শুনেছেন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার
চট্টগ্রামে চকবাজার থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন ...
পাঠকের মতামত